• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের দাবিতে উর্মিকে হত্যা, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ: পরিবার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ১২:৫১ এএম

যৌতুকের দাবিতে উর্মিকে হত্যা, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ: পরিবার

দেশজুড়ে ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তার পরিবার দাবি করেছে, আবেদনেরও পরও এ নিয়ে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

বুধবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নিহতের বাবা সিজিল মিয়া।

১৭ জানুয়ারি স্বামী জিল্লুর রহমানের বসতঘর থেকে উদ্ধার হয় ২৫ বছর বয়সী উর্মি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ। উর্মির বাড়ির অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দিঘীরপাড় এলাকায়।

মরদেহ উদ্ধারের পর দিন তার স্বামী জিল্লুরসহ পাঁচজনকে আসামি করে হত্যার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন উর্মির বাবা। তবে এই অভিযোগ এখনও মামলায় রূপান্তরিত হয়নি। আট বছর আগে উর্মির বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের জিল্লুর রহমানের সঙ্গে।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে উর্মির বাবা জানান, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার নামে যৌতুক দাবি করতেন জিল্লুর। মেয়ের সংসারে শান্তির চিন্তা করে দেড় বছর আগে জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা দেন তাকে।

তিনি জানান, পরে সে টাকা জুয়া খেলে ও নেশা করে উড়িয়ে দেন জিল্লুর। কিছুদিন আগে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন উর্মি৷

সিজিল মিয়া বলেন, ‘মূলত টাকার জন্যই আমাকে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা হয়তো মেয়ে দেখে ফেলেছে, এজন্য তাকেও সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। জিল্লুরের বাড়ির লোকজন এসব নিয়ে বাড়বাড়ি না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

উর্মির বাবা বলেন, যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়ে হত্যার মামলা করার জন্য থানায় গিয়েছি। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।

উর্মির বড় ভাই সাহেব মিয়া বলেন ‘আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। সে যদি আত্মহত্যা করত, তবে জিল্লুরের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেত না।’

সংবাদ সম্মেলনে উর্মি আক্তারের খালু মোসাদ্দেক হোসেন সোহেল, ছোট ভাই আল মোফাচ্ছর তন্ময়, শেখ সালমানসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, গৃহবধূ উর্মির মরদেহের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর্কাইভ