• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ক্যারাতে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৩, ০২:২০ এএম

অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ক্যারাতে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁতে শিক্ষার্থীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মোস্তফা কামাল (৫২) নামে এক ক্যারাতে শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নওগাঁর অ্যাসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ আদালতের বিচারক নূরুজ্জামান সরকার এই রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা কামাল শহরের রজাকপুর খলিফাপাড়া মহল্লার মৃত জনাব আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোজাহার আলী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহরের পার নওগাঁ মধ্যপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হালিমা আক্তার রেখা ১৭ বছর আগে নওগাঁ সরকারি কলেজে অনার্স ২য় বর্ষে পড়তেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। কলেজে পড়া অবস্থায় হালিমা ও তার ভাই ওমর ফারুক শহরের মুক্তির মোড়ে ইয়াংকিং মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমিতে ক্যারাতে শিখতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হন। সেই সুবাদে ক্যারাতে শিক্ষক মোস্তফা কামালের সঙ্গে তাঁদের পরিচয়। এক পর্যায়ে মোস্তফা কামাল বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও হালিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০০৬ সালের ১১ মে ভোর ৫টার দিকে হালিমার বাসায় ঢুকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন মোস্তফা কামাল।

অ্যাসিডে হালিমার শরীরের বেশ কয়েকটি অংশ মারাত্বকভাবে ঝলসে যায়। তাৎক্ষণিক হালিমাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই থানায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন তার বাবা রহমত আলী মন্ডল। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলা মামলার রায় দেন আদালত।

মোস্তফা কামালের স্ত্রী সম্পা আক্তার বলেন, অন্যায়ভাবে আমার স্বামীকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। এখানে ন্যায় বিচার করা হয়নি। বিচারক বাদীর আবেগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোজাহার আলী বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অ্যাসিড নিক্ষেপের শাস্তি কতটা ভয়াবহ সে সম্পর্কে সমাজে একটি বার্তা পৌঁছাবে। এতে আগামীতে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

 

বিএস/

আর্কাইভ