• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গোপন কক্ষে সিসিটিভি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ১২:১০ এএম

গোপন কক্ষে সিসিটিভি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানুষ গোপনেই ভোট দেবে, এটি তার অধিকার। গোপন কক্ষে সিসিটিভি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৯ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে, তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সমালোচনা দেখছি এবং বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালও এটির সমালোচনা করে সংবাদ ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে, আজকেও প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার নিজের বক্তব্য নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণের এবং গণমাধ্যমে সাংবাদিক ও বোদ্ধা ব্যক্তিদের অভিমত হচ্ছে- গোপনকক্ষ গোপনই এবং মানুষ গোপনেই ভোট দেবে, এটি তার অধিকার। ক্যামেরা লাগিয়ে কে কোন মার্কায় কাকে ভোট দিচ্ছে, তা যদি দেখা হয় তাহলে গোপনকক্ষ তো আর গোপন থাকল না। এটা আইনজ্ঞদের মতে, ‘ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অব প্রাইভেসি’ বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন। সাধারণ জনগণ এবং আইনজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর হস্তক্ষেপের অর্থ মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমান সম্ভবত কাকে ভোট দিয়েছিলেন, সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখিয়েছিলেন। এর ফলে নির্বাচন কমিশন তাকে নোটিশ করেছে যে আপনি এভাবে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা গণমাধ্যমে দেখাতে পারেন না, জনসম্মুখে দেখাতে পারেন না। যে নির্বাচন কমিশন আগে নোটিশ দিয়েছিল, সেই নির্বাচন কমিশন যদি নিজেই দেখে এবং অন্যদের দেখায় তবে তা ‘ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অব প্রাইভেসি’।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটকেন্দ্রে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে, অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ সেখানে ঢুকছে কি না বা সেখানে কোনো গণ্ডগোল- বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য অবশ্যই সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি সহায়ক মনে করেন, তাহলে সিসি ক্যামেরা থাকতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু গোপনকক্ষে ক্যামেরা লাগিয়ে ভোট দেওয়া দেখাকে বিশেষজ্ঞরা মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ বলছেন।

তথ্যসচিব মকবুল হোসেনের বাধ্যতামূলক অবসরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ’ তবে এ ধরনের ঘটনার পেছনে অবশ্যই কারণ থাকে বলে জানান তিনি।

জেডআই/

আর্কাইভ