• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের কাছে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা চাইল তুরস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০১:০২ এএম

বাংলাদেশের কাছে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা চাইল তুরস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের কাছে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভূমিকম্পে পর্যুদস্ত তুরস্ক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ চেয়েছে। তবে দেশটি নগদ কোনো অর্থসহায়তা নেবে না। ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্ট মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দূতাবাসে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, ‘ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।’
তিনি বলেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এতে আমরা চির কৃতজ্ঞ।’


রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তাসামগ্রী নিতে চাই। আমাদের শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনা খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কো–অপারেশন অ্যান্ড কো–অর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে।’
তিনি জানান, টিকা অফিস কোনো নগদ অর্থসহায়তা নেবে না। কেননা, এখানে তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণে অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে। তাই টিকা অফিস নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না।
গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংযজ্ঞ হয়েছে। ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ১৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দুই দেশ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক লাশ বেরিয়ে আসছে।
এদিকে আরও ভূমিকম্পের ভয়ে বাসায় ফিরছেন না লোকজন। লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি হারানো মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা পৌঁছানো এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ