• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘আসামির স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব পুলিশের, এটি কীসের আলামত?’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

‘আসামির স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব পুলিশের, এটি কীসের আলামত?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি স্বামীকে ছেড়ে দিতে স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় পুলিশ। এ কুপ্রস্তাব দেন বংশাল থানার এসআই ইমদাদুল হক ও মাসুদ রানা। তাদের প্রস্তাবে স্ত্রী রাজি না হওয়ায় বীভৎস মারধর করে তার স্বামীকে। একপর্যায়ে মারা যায় এই আসামি।

প্রথমে চুপ থাকলেও স্বামী মারা যাওয়ার পর পুলিশের কুপ্রস্তাবের বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলেন আসামির স্ত্রী।  
পরে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ভাইরাল হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় পুলিশের ওপর নানা সমালোচনার ঝড়।

এ ইস্যুতে মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  
সেখানে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, বর্তমানে শুধু ছাত্রলীগ নয়, পুলিশও মনে করে অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে।  

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, আসামির স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। বিনিময়ে স্বামীকে ছেড়ে দেবে।

এ ধরনের কাজ করা যায় ও এ প্রস্তাব দেওয়া যায়, এটি কীসের আলামত?

কোথা থেকে শুরু হয়েছে এটা। আমরা এতদিন দেখে এসেছি টাকা দিলে পুলিশ ম্যানেজ হয়। এখন পুলিশ যাকে ধরছে তার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে। আর না করলে বীভৎসভাবে নির্যাতন করছে স্বামীকে। এবং হ্যাপির স্বামী মারা গেছে।  

উপস্থাপকের উদ্দেশ তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন এটার বিচার হবে?

এগুলো ঘটনা ঘটার কারণ হলো কিছু গোষ্ঠীর হাতে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। কারণ সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। যেহেতু ভোটে আসেনি, জনগণ সঙ্গে নেই। তাই পুলিশকে খুশি রাখতে হবে। তারা নির্বাচনে যেহেতু পার করেছে। পাশাপাশি ছাত্রলীগ ক্যাডারকে সন্তুষ্ট রাখতে হচ্ছে। কারণ এই ক্যাডারগুলোই সারা রাত সিল মারে। আপনার ব্যবসায়ীকে খুশি রাখতে হবে। কারণ তাদের টাকায় আপনি নয়ছয় করে নির্বাচন পার করেছেন। 

আর্কাইভ