• ঢাকা শনিবার
    ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

থমথমে ইডেন ক্যাম্পাস, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৫:১১ এএম

থমথমে ইডেন ক্যাম্পাস, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগের দিনই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর ইডেন কলেজ। সাম্প্রতিক সময়ে ইডেন কলেজ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিয়োগ বাণিজ্য ও নানা অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার  অভিযোগে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে হেনস্তা ও মারধর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। শনিবার থেকে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনা নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা বিকালে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন।

কলেজ অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলন শুরুর পর ছাত্রলীগের দুই পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হামলা-পাল্টা হামলায় গড়ায়। দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে। এ সময় অন্তত দশজন আহত হন।

দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত তামান্না জেসমিন রিভাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজ প্রশাসন এম্বুলেন্স আনলে রিভার বিদ্রোহীরা অ্যাম্বুলেন্সকে বাধা দেয়। তাদের দাবি রিভা আহত হয়নি। সহানুভূতি পাওয়ার জন্য সে এখন ‍‍`ভণিতা‍‍` করছে। পরে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে তাকে এম্বুলেন্স ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয়। পাঁজাকোলা করে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও শিক্ষক ঘিরে রেখেছিল। তাকে গেটের বাহিরে বের করার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে রিভার বিদ্রোহীরা। এ সময় রিভার কয়েকজন অনুসারীকে হেনস্তা করে গেট থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস থেকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকেও সরিয়ে নেয় কলেজ প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা পারভিন চৌধুরী বলেন, রিভা ও রাজিয়া সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছেন। কিন্তু তাদের সেই সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কেউ ছিল না। পরে আমরা সেই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের বসাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- শেখ সানজিদা, সুষ্মিতা ও স্বর্ণালি।

দুগ্রুপের সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীকে ব্যাগ লাগেজ নিয়ে হল ছাড়তেও দেখা যায়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের  প্রশাসন বলতে মূলত ছাত্রলীগের নেত্রীদের বোঝায়। তাদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আরো খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জেডআই/

আর্কাইভ